হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগেই দেখা দেয় ১২ সতর্ক সংকেত
হার্ট অ্যাটাককে অনেকেই হঠাৎ ঘটে যাওয়া প্রাণঘাতী ঘটনা মনে করেন। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এর অন্তত এক মাস আগে শরীর নীরবে নানা সতর্ক সংকেত পাঠায়। এগুলোকে বলা হয় ‘প্রোড্রোমাল সিম্পটম’। সময়মতো সতর্ক হলে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে অন্তত ১২টি সাধারণ উপসর্গ দেখা যায়—
বুকে ব্যথা – প্রায় ৬৮% রোগীর ক্ষেত্রে
বুকে চাপ বা ভারী লাগা – ৪৪% রোগীর ক্ষেত্রে
হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া
শ্বাসকষ্ট
বুকে জ্বালাপোড়া (অ্যাসিডিটির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার ঝুঁকি)
অকারণে ক্লান্তি (বিশেষ করে নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়)
মাথা ঘোরা বা অস্থিরতা
বমি বমি ভাব বা পেটের সমস্যা
উদ্বেগ বা অজানা আতঙ্ক
ঘুমের সমস্যা (রাতে দম বন্ধ হয়ে আসা বা শ্বাসকষ্টে ঘুম ভাঙা)
পা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়া
শরীরের অন্য অংশে ব্যথা (হাত, পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে)
নারী ও পুরুষের উপসর্গে পার্থক্য
চিকিৎসকদের মতে, নারীদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো অনেক সময় ভিন্নভাবে দেখা দেয়—যেমন অতিরিক্ত ক্লান্তি, হজমের সমস্যা, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা ইত্যাদি। ফলে ভুল বোঝাবুঝি ও চিকিৎসা নিতে দেরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কেন আগে থেকে সংকেত দেয় শরীর?
হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হলো হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধা। ধমনিতে প্লাক জমে ধীরে ধীরে ব্লকেজ তৈরি হয়, যা এক মাস আগে থেকেই উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়।
শেষ মুহূর্তে তীব্র সংকেত
হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে তীব্র বুক ব্যথা, ঘেমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বা চোয়াল-পিঠে তীব্র ব্যথা দেখা দিতে পারে। এগুলো দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক সবসময় হঠাৎ আসে না। তাই নিয়মিত বুক ব্যথা, অকারণে ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা বা শ্বাসকষ্টকে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই প্রাণ বাঁচানোর মূল উপায়।
Post a Comment