#মুখ_ও_যৌনাঙ্গের_হার্পিস: কারণ, ঝুঁকি ও প্রতিকার
হার্পিস (Herpes) হলো একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা মূলত Herpes Simplex Virus (HSV) দ্বারা হয়ে থাকে। এ ভাইরাস দুটি প্রকার—
HSV-1: মুখে বা ঠোঁটে ফোস্কা/ঘা সৃষ্টি করে (Oral Herpes)
HSV-2: যৌনাঙ্গে ফোস্কা/ঘা সৃষ্টি করে (Genital Herpes)
শরীরের একপাশে হঠাৎ ফোসকা, জ্বালা বা ব্যথা দেখলেই
অবহেলা করবেন না
আজ আপনার সচেতনতা হয়তো
একজন তরুণীর সারাজীবনের হাসি বাঁচিয়ে দেবে-
কেন হয়?
১) যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে (অরক্ষিত যৌন মিলন)
২) চুম্বন, ওরাল সেক্স বা ত্বক-ত্বকের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে
৩) সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের তরল, লালা, বা ক্ষতস্থানের সংস্পর্শে
৪) একই তোয়ালে, রেজার, লিপস্টিক ব্যবহার করলে
৫) একবার সংক্রমিত হলে ভাইরাস শরীরে থেকে যায় এবং বারবার সক্রিয় হতে পারে
লক্ষণ:-
১) ছোট ছোট পানিভরা ফোস্কা (blister)
২) জ্বালা, চুলকানি ও ব্যথা
৩) জ্বর, দুর্বলতা বা লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
৪) বারবার পুনরায় উঠতে পারে
ভয়াবহ পরিণতি:-
১) হার্পিস জোস্টার শুধু ত্বকের রোগ নয়
২) চোখ কেড়ে নিতে পারে আলো
৩) কান কেড়ে নিতে পারে শ্রবণ
আর রেখে যেতে পারে আজীবনের অসহ্য যন্ত্রণা
৪) হার্পিসকে অবহেলা করলে বা চিকিৎসা না নিলে—
দীর্ঘদিন ভুগতে হয়, কারণ এটার স্থায়ী চিকিৎসা অনেকেই দিতে পারেন না, তারা বলে কেবল নিয়ন্ত্রণ করা যায়
৫) বারবার ফোস্কা হয়ে কষ্ট দেয়
Genital herpes থাকলে সন্তান জন্মের সময় নবজাতকের মধ্যে ছড়াতে পারে (Neonatal herpes – মারাত্মক)
১) এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়ায়।
২) মস্তিষ্কে ছড়ালে (Herpes encephalitis) প্রাণঘাতী হতে পারে
হার্পিসকে ছোটখাটো রোগ ভেবে ফেলে রাখা উচিত নয়। দ্রুত সঠিক চিকিৎসা নিন।
WhatsApp- 01515685809
Post a Comment