Top News

বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ানোর নিয়ম

 বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ানোর নিয়ম


চিয়া সিড সারা বিশ্বে ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসহ নানান পুষ্টি উপাদান, যা শিশুদের হাড়, মস্তিষ্ক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


কখন থেকে খাওয়ানো যাবে


বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চা যখন সলিড খাবার খেতে শুরু করে (সাধারণত ৬ মাস বয়স থেকে), তখন থেকেই চিয়া সিড খাওয়ানো যেতে পারে। তবে অবশ্যই আগে থেকে পানিতে ভিজিয়ে পিউরি, দই বা পরিজের সাথে অল্প পরিমাণে মিশিয়ে দিতে হবে।


বয়স অনুযায়ী খাওয়ানোর নিয়ম


৬ মাস+: ভেজানো চিয়া সিড ফলের পিউরি, দই বা পরিজে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। শুকনা সিড সরাসরি দেওয়া যাবে না।


বয়স অনুযায়ী খাওয়ানোর নিয়ম


৬ মাস+: ভেজানো চিয়া সিড ফলের পিউরি, দই বা পরিজে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। শুকনা সিড সরাসরি দেওয়া যাবে না।


১২ মাস+: ওটমিল, পায়েস, ফলের পুডিং বা কেক-পিঠায় ভেজানো চিয়া সিড মেশানো যায়। খাবারের ওপর অল্প শুকনা সিড ছিটিয়ে দেওয়া যাবে।

১৮ মাস+: ফলের স্মুদি, জুস বা সিরিয়ালের সাথে মিশিয়ে দেওয়া যায়। চাইলে চিয়া, ফল, লেবুর রস ও পানি দিয়ে ‘আগুয়া ফ্রেসকা’ তৈরি করা যেতে পারে।


কেন স্বাস্থ্যকর


চিয়া সিডে রয়েছে, ফাইবার, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।


প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট


.ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম, যা হাড়, রক্ত ও মস্তিষ্কের উন্নতিতে সহায়তা করে


.উদ্ভিদ-ভিত্তিক ওমেগা-৩, যা মস্তিষ্ক ও হরমোনের জন্য উপকারী, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

গোটা চিয়া সিড বাতাস-অবরুদ্ধ কন্টেইনারে সাধারণ তাপমাত্রায় ১৮ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। গুঁড়া করা সিড ফ্রিজে এক বছর পর্যন্ত রাখা যায়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চাদের জন্য এটি নিরাপদ ও পুষ্টিকর হলেও একবারে বেশি পরিমাণে খাওয়ানো উচিত নয়। ধীরে ধীরে অভ্যাস করানোই উত্তম।




Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post