Top News

চামড়ার নিচে ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড কেন হয়? সতর্কতা জরুরি

 চামড়ার নিচে ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড কেন হয়? সতর্কতা জরুরি



অনেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ার নিচে ছোট ছোট মাংসপিণ্ড দেখা যায়। এগুলোতে কোনো ব্যথা থাকে না। হাত দিয়ে স্পর্শ করলে মাংসপিণ্ড টের পাওয়া যায় কেবল। ব্যথাহীন হওয়ায় এগুলো নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামান না। তবে এসব মাংসপিণ্ড হতে পারে টিউমার। তাই শরীরে ফোলা ব্যথাহীন টিউমার থাকলে তা পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।এমন টিউমারকে বিনাইন টিউমার বলা হয়। এগুলো লাইপোমা নামেও পরিচিত। যদিও এই টিউমার শরীরের অন্যান্য অংশকে প্রভাবিত করে না, তবুও তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। এটি বিপজ্জনক হতে পারে। এমন টিউমারের লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-বিনাইন টিউমার কী?

টিউমার দু’ধরনের হয়। এক ধরনের টিউমার কেবল শরীরের এক জায়গাতেই বেড়ে ওঠে। এদের বিনাইন টিউমার বলে। এমন টিউমার শরীরের তেমন একটা ক্ষতি করে না।আরেক প্রকার টিউমারের ভেতর থাকা অস্বাভাবিক কোষগুলো রক্ত কিংবা লিম্ফ নামক কিছু রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে শরীরের অন্য অংশে গিয়ে জমা হয় এবং সেই অংশের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এসব টিউমার এক স্থানে হলে অন্য স্থানে ব্যাপ্তি ঘটায়। এদের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বলে। এদের ক্যানসারস টিউমারও বলা হয়। যা সংক্ষেপে ক্যানসার নামে পরিচিত।ম্যালিগন্যান্ট টিউমার কেন হয়? 

শরীরের যেকোনো স্থানে আঘাত লাগা, প্রদাহ, সংক্রমণ, জীবনযাত্রা, জেনেটিক অর্থাৎ জিনগত এবং বিকিরণের সংস্পর্শের মাধ্যমে এ ধরনের টিউমারের উৎপত্তি ঘটে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে অন্যভাবে ক্যানসারাস টিউমার বলা হয়।


এই টিউমারটি শরীরের যেকোনো অংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে মস্তিষ্ক, স্তন, ঘাড়, নাক, পেট ও শ্বাসযন্ত্রেই বেশিরভাগ এর হদিস মেলে।এই টিউমারটি শরীরের যেকোনো অংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে মস্তিষ্ক, স্তন, ঘাড়, নাক, পেট ও শ্বাসযন্ত্রেই বেশিরভাগ এর হদিস মেলে।


এই টিউমারটি শরীরের যেকোনো অংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে মস্তিষ্ক, স্তন, ঘাড়, নাক, পেট ও শ্বাসযন্ত্রেই বেশিরভাগ এর হদিস মেলে।বিনাইন টিউমারের লক্ষণসমূহ: 

বিনাইন টিউমারের উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ হলো- 


দৃষ্টির সমস্যা

শীতল অনুভূত হওয়া

অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করা

জ্বর হওয়া

ক্ষুধা কমে যাওয়া

রাতে ঘাম হওয়া

ওজন কমে যাওয়া

হঠাৎ মাথাব্যথাকীভাবে বিনাইন টিউমার শনাক্ত করা হয়?

চিকিৎসকরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে এই টিউমার শনাক্ত করেন। টিউমারটি বিনাইন নাকি ম্যালিগন্যান্ট তা কেবল পরীক্ষার পরে জানা যায়। এটি আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের লক্ষণসমূহ মাথায় রেখে পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসক সিটি স্ক্যান, এমআরআই স্ক্যান, ম্যামোগ্রাম এবং এক্স-রে করার মাধ্যমে টিউমারের ধরন শনাক্ত করেন।কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয় দরকার?

যখনই শরীরের কোনো অংশে অস্বস্তি বোধ করবেন কিংবা ফোলা মাংসপিণ্ড দেখবেন; তখন দেরি না করে পরীক্ষা করান। তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় এটি সারানো সম্ভব হবে। শরীরে অতিরিক্ত কোষ গঠন শুরু হলে এর লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায়। বেশি দেরি হলে এমন টিউমার ক্যানসারের কারণ হতে পারে।


ক্লান্তি ও বিষণ্নতা

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post