‘পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে আসতে পারি নাই’
শৈশবের স্মৃতিটুকুও নাই আমার, সবকিছু নিয়ে গেছে পাহাড়ি ঢল। হঠাৎ মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে আমার তিনটা ঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে আসতে পারি নাই। ঘর তো নাই, ভিটার মাটিটাও নাই। এই ভিটাতেই আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে। বাবার ভিটা নাই, ভাবতেই পারি না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজপাড় খৈলকুড়া এলাকার সিএনজিচালক উজ্জ্বল মিয়া।সারাদেশ
‘শৈশবের স্মৃতিটুকুও নাই আমার, সবকিছু নিয়ে গেছে পাহাড়ি ঢল। হঠাৎ মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে আমার তিনটা ঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে আসতে পারি নাই। ঘর তো নাই, ভিটার মাটিটাও নাই। এই ভিটাতেই আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে। বাবার ভিটা নাই, ভাবতেই পারি না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজপাড় খৈলকুড়া এলাকার সিএনজিচালক উজ্জ্বল মিয়া।
হঠাৎ নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তার জীবনের সবকিছুই যেন এক মুহূর্তে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি দিন এনে দিন খাই। আমার এই ক্ষতি কেমনে পুরণ হবে, আল্লাহ ভালো জানেন। ঘরের ভিটাটা যদি থাকতো, কোনো না কোনোভাবে একটা ঘর তুলতাম। এখন ভিটা না থাকায় প্রতিবন্ধী স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু এভাবে কই দিন টিকব? ৩ দিন, ৫ দিন, বেশি হলে ১০ দিন। তার পর আমরা যাব কোথায়?
উজ্জ্বলের মতো আরও অন্তত ১১টি পরিবার একেবারে সর্বস্ব হারিয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি, জীবিকার পথ সবই হারিয়ে গেছে ঢলের স্রোতে। আমাদের ঘরের জায়গাটা এখন চেনাই যায় না। বাঁধ ভেঙে আমাদের বসতভিটা নদীর মতো হয়ে গেছে। রোপা আমনের ধানের জমি পলি নিচে চলে গেছে, বলেন আরেক ক্ষতিগ্রস্ত।সারাদেশ
‘শৈশবের স্মৃতিটুকুও নাই আমার, সবকিছু নিয়ে গেছে পাহাড়ি ঢল। হঠাৎ মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে আমার তিনটা ঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে আসতে পারি নাই। ঘর তো নাই, ভিটার মাটিটাও নাই। এই ভিটাতেই আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে। বাবার ভিটা নাই, ভাবতেই পারি না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজপাড় খৈলকুড়া এলাকার সিএনজিচালক উজ্জ্বল মিয়া।
হঠাৎ নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তার জীবনের সবকিছুই যেন এক মুহূর্তে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি দিন এনে দিন খাই। আমার এই ক্ষতি কেমনে পুরণ হবে, আল্লাহ ভালো জানেন। ঘরের ভিটাটা যদি থাকতো, কোনো না কোনোভাবে একটা ঘর তুলতাম। এখন ভিটা না থাকায় প্রতিবন্ধী স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু এভাবে কই দিন টিকব? ৩ দিন, ৫ দিন, বেশি হলে ১০ দিন। তার পর আমরা যাব কোথায়?
উজ্জ্বলের মতো আরও অন্তত ১১টি পরিবার একেবারে সর্বস্ব হারিয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি, জীবিকার পথ সবই হারিয়ে গেছে ঢলের স্রোতে। আমাদের ঘরের জায়গাটা এখন চেনাই যায় না। বাঁধ ভেঙে আমাদের বসতভিটা নদীর মতো হয়ে গেছে। রোপা আমনের ধানের জমি পলি নিচে চলে গেছে, বলেন আরেক ক্ষতিগ্রস্ত।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর কাঁচা বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙন ধরলে মুহূর্তেই প্লাবিত হয় অনেক নিচু এলাকা । ১১টি ঘরবাড়ি ভেসে যায়, অসংখ্য মাছের ঘের ধ্বংস হয়, আর পানির নিচে ডুবে যায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর রোপা আমনের জমি। পানি কমতে শুরু করলেও এখনও ৮৭২ হেক্টর জমি পানির নিচে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ঢলেও ব্রিজপাড় এলাকায় বাঁধ ভেঙেছিল। সংস্কারের আশ্বাস মিললেও তা হয়নি। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যাতেও একই জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এবার আবারও ভাঙন দেখা দেওয়ায় হতাশা বেড়েছে। তাদের দাবি—দ্রুত একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হোক, না হলে প্রতিবছর এমন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের অভিযোগ, এত বড় ক্ষতির পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত শুধু ১০ কেজি চাল ও কিছু শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এই সহায়তা টিকে থাকার জন্য মোটেও যথেষ্ট নয় বলে তারা মনে করছেন
‘শৈশবের স্মৃতিটুকুও নাই আমার, সবকিছু নিয়ে গেছে পাহাড়ি ঢল। হঠাৎ মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে আমার তিনটা ঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে আসতে পারি নাই। ঘর তো নাই, ভিটার মাটিটাও নাই। এই ভিটাতেই আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে। বাবার ভিটা নাই, ভাবতেই পারি না।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজপাড় খৈলকুড়া এলাকার সিএনজিচালক উজ্জ্বল মিয়া।
হঠাৎ নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তার জীবনের সবকিছুই যেন এক মুহূর্তে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমি দিন এনে দিন খাই। আমার এই ক্ষতি কেমনে পুরণ হবে, আল্লাহ ভালো জানেন। ঘরের ভিটাটা যদি থাকতো, কোনো না কোনোভাবে একটা ঘর তুলতাম। এখন ভিটা না থাকায় প্রতিবন্ধী স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু এভাবে কই দিন টিকব? ৩ দিন, ৫ দিন, বেশি হলে ১০ দিন। তার পর আমরা যাব কোথায়?
উজ্জ্বলের মতো আরও অন্তত ১১টি পরিবার একেবারে সর্বস্ব হারিয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি, জীবিকার পথ সবই হারিয়ে গেছে ঢলের স্রোতে। আমাদের ঘরের জায়গাটা এখন চেনাই যায় না। বাঁধ ভেঙে আমাদের বসতভিটা নদীর মতো হয়ে গেছে। রোপা আমনের ধানের জমি পলি নিচে চলে গেছে, বলেন আরেক ক্ষতিগ্রস্ত।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর কাঁচা বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙন ধরলে মুহূর্তেই প্লাবিত হয় অনেক নিচু এলাকা । ১১টি ঘরবাড়ি ভেসে যায়, অসংখ্য মাছের ঘের ধ্বংস হয়, আর পানির নিচে ডুবে যায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর রোপা আমনের জমি। পানি কমতে শুরু করলেও এখনও ৮৭২ হেক্টর জমি পানির নিচে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ২০২২ সালের ঢলেও ব্রিজপাড় এলাকায় বাঁধ ভেঙেছিল। সংস্কারের আশ্বাস মিললেও তা হয়নি। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যাতেও একই জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এবার আবারও ভাঙন দেখা দেওয়ায় হতাশা বেড়েছে। তাদের দাবি—দ্রুত একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হোক, না হলে প্রতিবছর এমন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাদের অভিযোগ, এত বড় ক্ষতির পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত শুধু ১০ কেজি চাল ও কিছু শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। এই সহায়তা টিকে থাকার জন্য মোটেও যথেষ্ট নয় বলে তারা মনে করছেন।
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, উদ্ধার হলো দুই শিশুর মরদেহ
দুই বছরে তিনবার ভাঙন, আবারও সব হারালো মহারশি পাড়ের মানুষ
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। তিনি আশ্রিত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে যে পাহাড়ি ঢল হয়েছে সেটা অনেক ভয়াবহ ছিল। এখানে ১১টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। আমাদের বাঁধের কাজ যেসব স্থানে হয়েছে সেগুলো ভাঙেনি, তবে পুরো বিষয়টি টেকসই হওয়া দরকার ছিল। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জানাবো যেন ভাঙা অংশ ও ভবিষ্যতে ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়। না হলে প্রতিবছর ঝিনাইগাতীতে একই দুর্দশা তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানকার সবাই গরিব মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসবেন, যেখানে কাজ প্রয়োজন তিনি করবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। টিন ও অন্যান্য সহায়তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। জমির অভাব থাকলেও পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি। খাবার ও অন্যান্য সহযোগিতাও দেওয়া হচ্ছে, আমরা তাদের পাশে আছি। সবকিছু মিলিয়ে যেন প্রতিবছর এমন ভাঙন না হয়, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানাবো। জনগণ, কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একসঙ্গে চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
Post a Comment