বেশি বয়সে মা হওয়ার আগে যেসব শারীরিক পরীক্ষা জরুরি
কর্মজীবনে স্থিতি আনার পর অনেক নারীই দেরিতে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মা হওয়ার সম্ভাবনা ও ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ইচ্ছা করলেই মা হওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি ও শারীরিক পরীক্ষা।
ভারতের ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ত্রিশের পর থেকে নারীর ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান দ্রুত কমতে থাকে। ৩৫ বছর পার হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা আরও হ্রাস পায় এবং গর্ভপাতসহ শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ অবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য আগে থেকেই কিছু পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সমূহ:
আলট্রাসাউন্ড: জরায়ুর অবস্থা ও ডিম্বাণুর গুণমান বোঝার জন্য।
এএমএইচ (AMH) টেস্ট: জরায়ুতে কত ডিম্বাণু অবশিষ্ট আছে ও মা হওয়ার সম্ভাবনা নির্ণয়ে সহায়ক।
থ্যালাসেমিয়া টেস্ট: মা-বাবা উভয়ই বাহক হলে শিশুর থ্যালাসেমিয়ার ঝুঁকি ২৫% পর্যন্ত থাকে।
রুবেলা টেস্ট: রুবেলার টিকা নেওয়া থাকলে গর্ভাবস্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
জাতীয়
রাজনীতি
রাজধানী
দেশজুড়ে
অর্থনীতি
আন্তর্জাতিক
বিনোদন
খেলা
লাইফস্টাইল
আইন-বিচার
চাকরি
বিজ্ঞান
সোশ্যাল মিডিয়া
ধর্ম
আবহাওয়া
তথ্যপ্রযুক্তি
শিক্ষা
স্বাস্থ্য
মুক্তমত
প্রবাস
মিডিয়া
শিল্প-সাহিত্য
ইউটিউব
শেয়ারবাজার
ফিচার
কর্মজীবনে স্থিতি আনার পর অনেক নারীই দেরিতে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মা হওয়ার সম্ভাবনা ও ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ইচ্ছা করলেই মা হওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি ও শারীরিক পরীক্ষা।
ভারতের ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ত্রিশের পর থেকে নারীর ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান দ্রুত কমতে থাকে। ৩৫ বছর পার হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা আরও হ্রাস পায় এবং গর্ভপাতসহ শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ অবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য আগে থেকেই কিছু পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা সমূহ:
আলট্রাসাউন্ড: জরায়ুর অবস্থা ও ডিম্বাণুর গুণমান বোঝার জন্য।
এএমএইচ (AMH) টেস্ট: জরায়ুতে কত ডিম্বাণু অবশিষ্ট আছে ও মা হওয়ার সম্ভাবনা নির্ণয়ে সহায়ক।
থ্যালাসেমিয়া টেস্ট: মা-বাবা উভয়ই বাহক হলে শিশুর থ্যালাসেমিয়ার ঝুঁকি ২৫% পর্যন্ত থাকে।
রুবেলা টেস্ট: রুবেলার টিকা নেওয়া থাকলে গর্ভাবস্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
এন্ডোমেট্রিয়োসিস ও পলিসিস্টিক ওভারি টেস্ট: এ ধরনের সমস্যা থাকলে আগে থেকেই চিকিৎসা করা উচিত।
এনআইপিটি (NIPT) টেস্ট: ৩৯ বছরের বেশি বয়সে এ টেস্টে শিশুর ডাউন সিন্ড্রোমের ঝুঁকি ৯৯% ক্ষেত্রে নির্ণয় করা সম্ভব।
অতিরিক্ত সতর্কতা: গর্ভধারণের আগে ‘প্রিকনসেপশনাল কাউন্সেলিং’ নেওয়া জরুরি। এতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হৃদরোগসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা পরীক্ষা করা হয়। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শে শরীরকে গর্ভধারণের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়।
মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বয়স বেশি হলেও আগে থেকে পরিকল্পনা ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে মা ও শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
অর্থাৎ, বেশি বয়সে মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে দেরি না করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
Post a Comment