Top News

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আশার আলো

 মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আশার আলোশিক্ষার্থীদের জন্য আশার আলো জ্বালালেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মিঞা মো. নূরুল হক। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, এবতেদায়ি পর্যায়ে চালু হচ্ছে মিড ডে মিল এবং উপবৃত্তি কার্যক্রম। একই সঙ্গে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষাও চালু করা হচ্ছে।



শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন এবং মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান তিনি।




চেয়ারম্যান আরও বলেন, মাদ্রাসা পর্যায়ে ইতোমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগও যুক্ত হবে, যাতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মূলধারার উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানে আরও সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারে।




মিঞা নূরুল হক বলেন, আগে মাদ্রাসা স্থাপনের ক্ষেত্রে কঠোর শর্ত ছিল, যা অনেক সময় শিক্ষার বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়াত। এখন আমরা সেই বিধিনিষেধ শিথিল করছি। পাঠদানের অনুমতির শর্তও সহজ করা হয়েছে, যাতে দ্বীনি শিক্ষার বিস্তারে কোনো বাঁধা না থাকে।তিনি জানান, মাদ্রাসার সিলেবাসে যেসব সমস্যা বা অসামঞ্জস্যতা রয়েছে, সেগুলোর সমাধানে বোর্ড কাজ করছে। ‘আমরা এমন একটি পাঠ্যক্রম গড়তে চাই, যার মাধ্যমে যুগোপযোগী ও যোগ্য আলেম তৈরি হবে,’ বলেন তিনি।




চেয়ারম্যান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের অন্তরে থাকে আল্লাহর ওহির জ্ঞান, রাসুলের সুন্নাহর শিক্ষা। তারা ভদ্র, শান্তিপূর্ণ, মানবিক এবং দেশপ্রেমিক হয়। এর বড় প্রমাণ হলো—দেশ থেকে যে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, তার সঙ্গে কোনো আলেম বা মাদরাসা শিক্ষিত ব্যক্তি জড়িমাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পূর্বে মাদ্রাসার সার্টিফিকেটধারীদের শুধু অবজ্ঞাই করা হয়নি, বরং চাকরির ইন্টারভিউতেও বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। ভালো রেজাল্ট করেও শুধুমাত্র মাদ্রাসার পরিচয়ের কারণে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলেছে, এবং আমরা পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছি।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) কাজী হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দারুল উলূম কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম আবদুল্লাহ, এবং হাজিরহাট হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা জায়েদ হোসেন ফারুকসহ অন্যান্য শিক্ষাবিদরা।ত ছিল না।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post